Sambad Matamat

।। পুস্তক সমালোচনা ।।

শীতাংশু’র ২টি বই এবার প্রকাশিত হয়েছে। নাম, জীবনী নয়—১ & ২ । পাওয়া যাচ্ছে: ঢাকার বইমেলায়, বর্ধমান ভবনের পাশে মুক্তধারা, নিউইয়র্ক ষ্টল: ১১২/১১৩। আজই সংগ্রহ করুন। এতে আপনার নাম আছে, কারণ আপনি ফেসবুকে মন্তব্য করেছিলেন? বই পড়ুন এবং মন্তব্য করুন, আপনার মন্তব্য পরবর্তী বইয়ে স্থান পেতে পারে। ধন্যবাদ।
Read:
* এই মুনসেফ পাড়ায় থাকতেন দিলীপ সাহা। বড় ব্যবসায়ী। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি পালতে পারেননি। তাকে জোর করে মুসলমান বানানো হয়! দেশ স্বাধীন হলে তিনি আবার হিন্দু হয়ে যান। দিলীপ সাহার বড় ছেলে ‘সুনীত, আমাদের সাথে পড়তো, বন্ধু। পরে ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় এক মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করে কলকাতা পালিয়ে যায়। কলকাতার বালিগঞ্জে থাকতো। আমি ওর বাড়ীতে গিয়েছি। ১৯৭৮ পর্যন্ত ওদের সাথে যোগাযোগ ছিলো। তারপর দীর্ঘদিন আর কোন খোঁজ নেই? ফেসবুক-এর কল্যানে ওদের খুঁজে পাওয়া গেছে, ওরা ভালো আছে, তবে এখনো দেখা হয়নি। ফেসবুক হয়েছে তাই, আমার প্রথম কদম ফুল, ‘মুন’-কে খুঁজে পেয়েছি! ওর সাথে দেখা হয়েছে। বললো, ৪৪ বছর পর? স্বামী-স্ত্রী পরিবার-পরিজন নিয়ে ওরা ভালো আছে. সেই গল্প পরে।
* একটি ছেলে, একটি মেয়ে সম্পর্ক হতেই পারে, কিন্তু ধর্মান্তর কেন? জোরজবরদস্তি ইসলামে বেশি। ধরা যাক, দুই ধর্মের দুই পাত্রপাত্রীর মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে উঠলো। বিয়ের পালা। ধর্ম তখন সামনে এসে দাঁড়ায়। সমস্যা বাঁধে পাত্র-পাত্রীর একটি পক্ষ মুসলিম হলে; সেখানে অন্যপক্ষকে মুসলমান হতে হয়।, এটা এক ধরণের জবরদস্তি। এখানে ধর্মকে ভালবেসে কেউ ধর্মান্তরিত হচ্ছেন না। আকর্ষণটা ধর্মের নয়, অন্যত্র। চাহিদা ধর্মের নয়, দেহের। প্রশ্ন উঠতে পারে, ছেলে-মেয়ে কাউকে ধর্ম ত্যাগ করতে হবে কেন? আর যদি করতে হয়, তাহলে একজনকে কেন? দু’জনকে নয় কেন? প্রায়শ: দেখা যায়, মেয়েটি ধর্ম ত্যাগ করছে। এতে মেয়েটির ভালবাসার প্রমান হলেও ছেলেটি’র ভালবাসার প্রমান হয়না। ভালবাসার জন্যে ধর্মান্তর-কে কি ভালবাসা বলা যায়? দু’জনের ভালবাসার মধ্যে যদি ধর্ম বড় হয়ে দাঁড়ায় তাহলে সেটা আর যাই হোক, ভালবাসা নয়! দু’জন যদি সত্যি একে অপরকে ভালোবাসেন তবে উভয়ে ধর্মত্যাগ করে তৃতীয় ধর্ম গ্রহণ করলে হয়তো কিছুটা যৌক্তিক হতে পারে। নইলে তো ওই ‘ভালোবাসা’ আর ‘গৃহস্থের মুরগী পোষা’-র মধ্যে খুব একটা তফাৎ থাকেনা।

– সুকুমার রায়

Leave a Reply

Your email address will not be published.