ড. ইউনুস কবে যাচ্ছেন

শিতাংশু গুহ, নিউইয়র্ক।।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও তার পিতাকে নিয়ে বাংলাভিশন একটি প্রামাণ্য ভিডিও স্টোরী করেছে যা ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ ভিউ হয়েছে। মুরাদনগরে তাঁর দেশের বাড়ীতে বিএনপি এক বিশাল সমাবেশ করে আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবি করেছে। আর এক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল দু:খ প্রকাশ করেছেন। তিন বলেছিলেন, শেখ হাসিনা একাত্তরের হানাদার বাহিনীর চেয়েও খারাপ কাজ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে তার এ বক্তব্যে হৈচৈ শুরু হয়, তিনি ধানাই-পানাই করে দু:খ প্রকাশ করেন, মাফ চাননি। অন্যদিকে ড.ইউনূসের ভাষায় তথাকথিত বিল্পবের ‘ব্রেইন’ মাহফুজ-র বিরুদ্ধে নুতন করে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর ট্যাক্সিচালক ভাইয়ের একাউন্টে হটাৎ ছয় কোটি টাকা জমা হওয়ায় এ অভিযোগ। মাহফুজ তার নিজের ফেইসবুকে পোস্টিং দিয়ে বলেছেন, একটি নুতন দলের নেতারা এসব নোংরামি করছে। তিনি বলেন, সবাই যখন দুর্নীতি করছে, তখন একজন (তিনি নিজে) যখন টাকা ধরছেন না, তখন তারা এসব করছে। পরে অবশ্য তিনি স্ট্যাটাস পরিবর্তন করে ‘একটি নুতন দলের’ পরিবর্তে ‘ক’টি দল’ বলেছেন। যাহোক, বোঝা যাচ্ছে, এনসিপি আঁতুর ঘরেই শেষ। বলা হচ্ছে, সেনাবাহিনী নাকি এনসিপিকে আর প্রটোকল দেবেনা। এটি হলে তো সোনায় সোহাগা।
ক’দিন আগে এক ভিডিওতে দেখলাম অনেক মানুষ, এক মহিলা এনসিপি’র প্রধান নাহিদ ইসলামের সাথে তর্ক করছেন, কোথা থেকে এসে এক ছেলে মারলো নাহিদের গালে এক চড়। ঘটনা কোথাকার তা জানিনা, তবে এটি ‘এআই’ নয়, বাস্তব। আরো একটু আগে নাসির পাটোয়ারী কক্সবাজারে দৌড়ানী খেয়ে পালিয়েছে। গোপালগঞ্জে সারজিস, হাসনাত সেনাবাহিনীর এপিসি-তে চড়ে ‘জান বাঁচান ফরজ’ প্রমান করেছে। উত্তরায় যুদ্ধবিমান ধ্বংস ঘটনার পর দুই উপদেষ্টা, ড. আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারী শফিকুল আলম-কে ছাত্ররা প্রায় ৯ঘন্টা আটকিয়ে রেখেছিলো। একই ঘটনার পর ছাত্ররা প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস-র বিরুদ্ধে ‘ভুয়া ভুয়া’ শ্লোগান দিয়েছে। অর্থাৎ শুরু হয়ে গেছে, এবং এখন থেকে এটি চলবে। শেরপুরে এনসিপি’র জনসভায় কেউ পেছন থেকে বললো, ‘ছাত্রলীগ আইলো’-ব্যস মিটিং পন্ড। ক’দিন আগে লিখেছিলাম, সময় আসছে ‘আওয়ামী লীগ আইলো’ বললে ‘লাল স্বাধীনতাওয়ালারা’ পালাবে। সময় সমাগত। দেশের মানুষ বুঝে গেছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার অযোগ্য, অকর্মন্য, চোর। গত এক বছরে কোন সেক্টরে এদের কোন সাফল্য নেই? মানুষ বলছে ড. ইউনুস ও এনসিপি একই এবং এঁরা দেশের জন্যে ক্ষতিকর।
হাসনাত আব্দুল্লাহ সেদিন চট্টগ্রামে বলেছে, ড. ইউনূসের স্বজনপ্রিয়তার বড় প্রমান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডাঃ নূরজাহানের নিয়োগ। এটি অন্তর্দ্বন্দ্ব। দিন যত যাবে অন্তর্কলহ বাড়বে, এনসিপি ও ইউনুস ও অন্য উপদেষ্টারা যত্রতত্র লাঞ্ছিত হবেন। মানূষ জানান দিচ্ছে, তাঁরা আর এ সরকার চায়না। ড. ইউনূসের এনজিও ষ্টাইল রাষ্ট্রকে অথর্ব করে দিয়েছে। ভাল চাইলে ড. ইউনুস এখন স্বেচ্ছায় কেটে পড়বেন। না গেলে, তাকে যেতে বাধ্য করা হবে? তিনি এসেছিলেন শেখ হাসিনা’র প্রতি প্রতিশোধ নিতে, তিনি সেটি নিয়েছেন। গুজব রয়েছে এই বৃদ্ধ বয়সে ড. ইউনূসের রোজগার জীবনের অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি। লাইসেন্স, পারমিট, ৬৬০কোটি টাকা মওকুফ ইত্যাদি তো আছেই, আরো অনেক কিছু আছে, তিনি বিদায় হলে সেটি জানা যাবে। জেলে যেতে না চাইলে তার পালানোর এটিই উৎকৃষ্ট সময়। বহু লেখায় বা টকশো-তে বলেছি, আবারো বলছি, ড. ইউনূসের হাত দিয়ে কোন নির্বাচন হবেনা। হবেনা। তাঁর বিদায় আসন্ন। এরপর কি হবে তা বলা মুশকিল, শুধু এটুকু বলা যায়, দেশে এখন যে দুরাবস্থা, এর থেকে আর খারাপ কিছু হবেনা। গোপালগঞ্জ ও যুদ্ধবিমান ধ্বংসের ঘটনায় দেশের মানুষ সেনাবাহিনীর ওপর বিরক্ত। অনেকেই তাদের ‘দেশপ্রেমিক’ বলতে চাননা-কারণ তারা গুলি চালাবেন না বলে যে কথা দিয়েছিলো তা রাখেননি ?