GeneralNewsSambad MatamatWorld

প্রবাসী বাঙালিদের সংগঠন সিএবির ভোট  

দিলীপ চক্রবর্ত্তী 

অবশেষে সি এ বির ভোটপর্ব শেষ হল কয়েকদিন আগে। তবে ২০২৪এর ভোট গত পঞ্চাশ বছরের ভোটের ইতিহাস ম্লান করে দিয়েছে একদিকে তেমনই অপরদিকে ভোটের ইতিহাসে সি এ বি ধারাবাহিকতার ধাপ অতিক্রম করে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আসুন এবার একই মুদ্রার দুই পিঠ আলোচনা করি।

সি এ বির বোর্ড অফ ট্রাষ্টী ২০২৪ সাল থেকে ইলেক্ট্রনিক ভোটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেজন্য তারা একটি সংস্থাকে ইলেকট্রনিক ভোটের ব্যবস্থা করার জন্য বরাদ্দ দেয়। সে সংস্থাটি নির্দিষ্ট সময় সীমার পূর্বেই সকল পরীক্ষা করে ইলেক্ট্রনিক ভোটের সম্পুর্ণ ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু কয়েকজন সদস্য তাঁদের কথায় “হোম গ্রোন” (অর্থাৎ ভারত তথা কলকাতার সংস্থার) প্রতি সংশয় প্রকাশ করেন কারণ এ ইলেকট্রনিক ব্যবস্থাটি আমেরিকার অনুমোদন নেই। সেজন্য এ ব্যবস্থাকে বাতিল করে কানাডার একটি সংস্থাকে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সকল সভ্যের ইমেল না থাকায় সাথে কাগজের ব্যালটের ব্যবস্থাও করে হয়েছিল। ভেবে দেখুন – আমাদের সভ্যরা যাঁরা ভারতে বা কানাডায় বসবাস করেন, তাঁরা আগে কখনো ভোট দিতে পারেন নি, কিন্তু ২০২৪এর ভোটে ইলেক্ট্রনিক ভোটের দৌলতে তাঁরাও ভোট দিতে পেরেছেন। এ ব্যবস্থা করার জন্য বোর্ড অফট্রাস্টীর চেয়ারম্যান ও সকল সভ্যদের সাধুবাদ জানাই, আর বলি – আপনাদের দুরদর্শিতার জন্যই আজ ভারত, আমেরিকা ও কানাডার সকল সি এ বির সভ্যগণ ভোট দিতে পেরেছেন। আপনারা সিএবির নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। 

এবার ভোট প্রসঙ্গে আসা যাক। ১৪টি আসনের মধ্যে ২টি আসনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না বাকী ১২টি আসনের জন্য ২৪ প্রার্থী প্রতিযোগিতা করেছিলেন। ভোট প্রার্থীরা দুটি দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন এবং একজন প্রার্থী নির্দলীয় ছিলেন। দুটি দলের একটি দল ছিল পুরোনো “গতানুগতিক পন্থায়” বিশ্বাসী, এ দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন শ্রী কাজল সরকার আর অন্য দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন ডঃ অশোক রক্ষিত, যিনি নতুন ভাবে সিএবিকে “দুর্ণীতি ও পক্ষপাত” মুক্ত করতে চেয়ে সিএবির পরিবর্ত্তন করতে চেয়েছেন।  

গত ৫০ বছরের ভোটের ইতিহাস খনন করলে দেখা যাবে – কখনও কখনও নির্বাচন কালে প্রতিযোগীরা প্রচারে শালিনতার সীমা লঙ্ঘন করে গেছেন। নজির আছে বেনামী চিঠি দিয়ে কুৎসা রটানো হয়েছে। এমন কি নির্বাচন কমিশনারকেও নানাভাবে বিরক্ত করা হয়েছে। কিন্তু এবার নির্বাচনে অপপ্রচার শুধু সীমা ছাড়িয়ে যায়নি, যাঁরা পরিবর্ত্তন আনতে চেয়েছেন তাঁদেরকে সমর্থকদের বিরুদ্ধেও নানা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম ডিলের উদ্যোক্তা যথার্থ রূপেই পাটকেলটি ফিরে পেয়েছেন, নির্বাচকগণ এ কুৎসা পছন্দ করেন নি, বরং প্রার্থীরা সিএবির জন্য, সদস্যদের জন্য কি করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.