‘ ফল অফ বাইডেন ’
শিতাংশু গুহ, নিউইয়র্ক।।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নির্বাচনী রেস্ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। রোববার (২১জুলাই, ২০২৪) দুপুরে ওয়েবে এ ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, দেশ ও তার দল ডেমক্রেটিক পার্টির স্বার্থে তিনি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সাথে তিনি ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস-র প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, তার দাঁড়ানোই উচিত ছিলোনা। তিনি বলেন, বাই-বাই বাইডেন। রিপাবলিকান পার্টি বলেছে, বাইডেনের প্রেসিডেন্ট পদ থেকেও সরে দাঁড়ানো উচিত। হোয়াইট হাউস জানায়, প্রেসিডেন্ট তার মেয়াদ পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। এরআগে রোববার সকাল পর্যন্ত ২জন সিনেটরসহ ৩৭জন ডেমক্রেট আইনপ্রণেতা তাকে সরে দাঁড়ানোর আহবান জানান।
বাইডেন সরে দাঁড়াতেই ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস তার প্রার্থিতা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, আমি দলের মনোনয়ন চাই এবং আশা করি তা পাবো। তার প্রতি দল নেতাদের সমর্থন আসতে শুরু করে। বাইডেনের পর তার সবচেয়ে বড় সমর্থন আসে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন’র পক্ষ থেকে। ৫০টি ডেমক্রেট ষ্টেট চেয়ারম্যান হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন। কমলা হ্যারিস বিপক্ষ শিবির বলছে, ডেলিগেটরা নির্ধারণ করবেন কে হবেন দলের প্রার্থী। দলছুট ওয়েষ্ট ভার্জিনিয়ার সিনেটর জো মানচিন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, তিনি ফিরে আসছেন এবং প্রেসিডেন্ট পদে দলের নমিনেশন চাইবেন। সুবক্তা মেরিয়ানা উইলিয়াম ইঙ্গিত করেছেন, তিনিও প্রতিদ্ধন্ধিতায় নামছেন।
পূর্বাহ্নে মিডিয়া জানায় যে, বাইডেন সপ্তাহান্তে সরে দাঁড়াবেন। বাইডেন ক্যাম্পেইন বলছিলো, তিনি রেসে আছেন। বাইডেন অনড় ছিলেন। সম্ভবত: কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হলে তিনি বুঝতে পারেন যে, তাঁর সরে দাঁড়ানো উচিত। ওবামা বলেছেন, বাইডেনের উচিত তার পুনর্নির্বাচন সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা। ডেমক্রেট বড়বড় নেতা, বন্ধুরাও জানাচ্ছিল যে, বাইডেন সরে দাঁড়াতে পারেন। সাবেক স্পীকার ন্যান্সী পেলোসি বলেছেন, বাইডেন থাকলে হাউস হাতছাড়া হয়ে যাবে। সিনেট নেতা চাক স্যুমার, হাউস মাইনরিটি নেতা হেকিম জেফরী পরোক্ষভাবে চাইছিলেন যে, বাইডেন স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ান। দুই-তৃতীয়াংশ ডেমোক্রেট চাইছিলো বাইডেন সরে দাঁড়ান।
এমনিতে ডেমক্রেট পার্টিতে ঝামেলা যাচ্ছিলো, বাইডেন সরে দাঁড়াতে তা আরো ঘনীভূত হলো। সবাই কমলা হ্যারিসকে সহজে মেনে নেবেন তেমনটা নাও হতে পারে, ইতিমধ্যে সেই আভাষ মিলছে। ডেমক্রেট সম্মেলন ১৯শে আগষ্ট শিকাগোতে, চূড়ান্ত প্রার্থী মনোনয়ন হয়তো সেই পর্যন্ত গড়াবে। ১৯৬৮ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি জনসন ভিয়েতনাম যুদ্ধ ঠিকমত হ্যান্ডেল করার ব্যর্থতা ও অসন্তোষের কারণে প্রাইমারি থেকে সরে দাঁড়ান। এবারকার পরিস্থিতি একই। প্রাইমারীতে জয়ী বাইডেনের ডেলিগেটরাই এখন মূলত: নির্ধারণ করবেন, কে হবেন দলের প্রার্থী। নিউজম্যাক্স হেডিং করেছে, ‘ফল অফ বাইডেন’। ট্রাম্প বলেছেন, ‘আই টুক এ বুলেট ফর ডেমক্রেসি’। Pic courtesy The Economic Times