ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল, চীনা নাগরিক হানজুনেই কে ঘিরে বাড়ছে রহস্য
অরুণ কুমার
ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল চীনা নাগরিককে নিয়ে রহস্য আর থামছেনা। দিনের পর দিন লাগাতার জেরা করার পরেও তদন্তের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছেন না এই ধৃত চীনা নাগরিক। ফলে সমস্যা এবং রহস্য দুটোই সমান ভাবে চলেছে। চীনা নাগরিক এর তদন্তের দায়িত্বে থাকা এসটিএফ এর হাতে হান জুনেই কে ঘিরে বাড়ছে রহস্য, তদন্তের জন্য এবার বাংলা থেকে উত্তর প্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিয়ে গিয়েছে সেই রাজ্যের এটিএফ।এর আগে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর মালদহ জেলা পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গের এসটিএফের হাতে ছিল এই চীনা নাগরিক। অভিযুক্ত চীনা ‘চর’ হান জুনেইকে দশ দিনের এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল মালদহ আদালত। এর আগে হানকে গ্রেপ্তার করার পর মালদহ পুলিশের কাছ থেকে এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। হানকে নিয়ে একের পর এক জেরা আরম্ভ হয় কখনো মালদহের পুলিশ ফাঁড়ি বা এসটিএফের অফিসে রেখে। নিরাপত্তাজনিত কারণে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে জেরা করা সম্ভব হয়নি যদিও করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে পুলিশ কর্তারা মালদহ জেলা সদরে জেরার কর্মকাণ্ড করেছেন।জানা গিয়েছে,এতদিন পর্যন্ত হান সংক্রান্ত যে সমস্ত তথ্য বিএসএফ ও মালদহ জেলা পুলিশের হাতে ছিল, তার তদন্তের রিপোর্ট ছাড়াও হানের জেরার ভিডিয়ো রেকর্ডিং, কী ভাবে সে ভারতে এল তার পুনর্নির্মাণের রেকর্ড সমস্ত তথ্য এসটিএফের আধিকারিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্ করা যেতে পারে যে,গত১০ জুন কালিয়াচক থেকে চিনা চর হানকে গ্রেফতার করে কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল বিএসএফ। ওইদিনই ধৃত চিনা চরকে মালদহ আদালতের তোলা হলে, প্রথমে ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। তবে সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আবেদনের ভিত্তিতে এদিন ধৃতকে এসটিএফ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত মিলিক সুলতানপুর পেরিয়ে মালদহ দিয়ে অনুপ্রবেশের সময়ে বিএসএফের হাতে ধরা পড়েছিল এই চিনা নাগরিক হান জুনেই। তাকে প্রাথমিক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধৃতের কাছ থেকে যেসব বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম তার ল্যাপটপ ও আই ফোন নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, হানের ল্যাপটপ ও আই ফোনের পাসওয়ার্ড মান্দারিন ভাষায় লক করা রয়েছে। তাই ওই ভাষা জানা ব্যক্তির খোঁজ করছে পুলিশ। তা না হলে কোনওভাবেই ল্যাপটপ বা আই ফোন খোলা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও নিয়েছে তারা। সেকারণে সেসব থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও নথিই উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। যা তদন্তে সাহায্য করতে পারে। এবার তাকে জেরার পাশাপাশি এসটিফ যে এই ল্যাপটপ, ফোনও খোলার চেষ্টা করবে, তা বলাইবাহুল্য। কারণ, তদন্তকারীদের ধারণা, এই বৈদ্যুতিন যন্ত্রগুলোর তথ্য বার করতে পারলেই হান রহস্যের সমাধান সম্ভব হবে। সরকারি আইনজীবী দেবাদিত্য পাল জানিয়েছেন, চীনা নাগরিক জুনেই হান কে, ফোর্টিন্ ফরেইনার্স অ্যাক্ট ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ আইফোন মোবাইল ফোনের পাসওয়ার্ড চীনা ও ম্যান্ডারিন ভাষায় হওয়ার কারণে উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে হান এর শরীরে কোথাও মাইক্রোচিপ লাগানো আছে কিনা সেটা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে কিন্তু মাইক্রোচিপ আছে কিনা সেই বিষয়টি জানতে হলে একটি বিশেষ পরীক্ষা প্রয়োজন এবং সেটি আদালতের অনুমোদন সাপেক্ষ। লখনৌ থেকে আসা এসটিএফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হানকে লখনও মুখ্য বিচার বিভাগে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যাওয়ার আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। বাকিটা এখন সেখানকার এসডিএফ তদন্ত করে দেখবে বলে তিনি জানিয়েছেন।এ বিষয়ে আরো জানা গিয়েছে যে চীনা নাগরিক হান এর আগেও আর্থিক তছরূপের মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন লখনৌতে এবং তার সাথে যুক্ত 18 জন অভিযুক্ত এখনো গ্রেফতার হয়েছেন এবং বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন।বিষয়টি এখন কোন দিকে গড়ায় তার অপেক্ষায় রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে কালিয়াচকে ধৃত চিনা নাগরিককে জেরায় উন্মোচিত হয়েছে একের পর এক রহস্য। কয়েকদিন আগে কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুর থেকে ওই চীনা নাগরিককে গ্রেফতার করে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, সীমান্ত টপকে বাংলাদেশ থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন হান জানুই। কিন্তু কোন পথে প্রবেশ করেছিলেন তিনি? সেই গোপন রাস্তার খোঁজ পেতে এবার ময়দানে নামল পুলিস। ধৃতকে নিয়ে এবার ঘটনার পুনর্নির্মান করলেন তদন্তকারীরা।ইতিমধ্যেই যেটা জানা গিয়েছে, ২ জুন বিজনেস ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন চিনের হুবাই প্রদেশের বাসিন্দা হান জানুই। এরপর ভারতে অনুপ্রবেশ করেন তিনি। তবে স্থলপথে নয়। মূলত নদী পথেই বাংলাদেশ থেকে এপাড়ে আসেন হান জানুই। এরপর কাঁটা তার নেই, সীমান্তের এমন এলাকা দিয়ে প্রবেশ করেন মূল ভূখণ্ডে। ধৃতকে সরেজমিনে নিয়ে গিয়ে ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, কালিয়াচকের মিলিক সুলতানপুর থেকে ধৃত ওই চিনা নাগরিককে আগেই জেরা করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জেরায় প্রকাশ্যে এসেছে চিনে সেনা পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন তিনি। ইংরেজিতে বিশেষ ভাবে পারদর্শী। ফলে হান জানুইয়ের সঙ্গে লাল ফৌজের যোগ আরও স্পষ্ট হয়েছে। ইতিমধ্যেই হান জানুইয়ের এক ব্যবসায়ীক সহযোগী সান সিয়াংকে গ্রেফতার করেছে লখনউ এটিএস। জানুইয়ের কাছে থেকেও পাওয়া গিয়েছে একাধিক বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম।
অভিযোগ, কোনও বৈধ ভিসা না থাকলেও গুরুগ্রামের একটি হোটেলের মালিক হান জানুই। কোনও গোয়েন্দা কাহিনীকেও যেন হার মানাবে এই ঘটনা। মালদহের কালিয়াচকে ধৃত চিনা নাগরিক হান জানুইকে ঘিরে ক্রমেই ঘণীভূত হচ্ছে রহস্য। প্রাথমিক তদন্তে আগেই ধৃতকে চিনা গুপ্তচর বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। এবার তাঁদের আশঙ্কা, হানের শরীরের ভিতরে থাকতে পারে কোনও মাইক্রোচিপ বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস। যা নিশ্চিত করতে এবার ধৃতের সিটি স্ক্যান করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা। তবে কী কোনও বড়সড় সাইবার হানার প্ল্যান নিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন হান জানুই? এই প্রশ্নেই বাড়ছে চিন্তা।এরই মধ্যে ধৃতের থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া ল্যাপটপ ও আইফোন নিয়েও মহাবিপদে পড়েছিলেন তদন্তকারীরা। পাসওয়ার্ড ক্র্য়াক করতে কার্যত নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল তাঁদের। জানা গিয়েছে, হানের ল্যাপটপ ও আইফোনের পাসওয়ার্ডে মান্দারিন ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। যা উত্তর চিনে বেশ প্রসিদ্ধ এই ভাষা। এছাড়া আরও একটি সোশ্যাল গ্রুপে মান্দারিন ভাষায় কথোপকথনেরও তথ্য মিলেছে। এখন মান্দারিন ভাষা জানেন এমন ব্যক্তির খোঁজ করে তদন্তকারী গোয়েন্দা পুলিশ। ধৃতের ল্যাপটপ ও আইফোন থেকে বহু তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। পরে অবশ্য এই ল্যাপটপ ও আইফোন খুলতে সক্ষম হন গোয়েন্দারা। এ বিষয়ে জানা গিয়েছে গোয়েন্দা কর তাদের মতে, ধৃত হান জানুই মোটেই কোনও সাধারণ ব্যক্তি নন। তাঁর কথায় একাধিক অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কেবলমাত্র আর্থিক প্রতারণা নাকি হানের ভারতে আসার পেছনে রয়েছে আরও বড় কোনও কারন? যদিও এর আগে বিভিন্নভাবেসেই রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন তাঁরা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন মালদহ জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ও ডেপুটি পুলিশ সুপার প্রশান্ত দেবনাথ সহ আরো পদস্থ গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা।কিছু কথা আর প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গিয়েছে আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে রহস্যের ধোঁয়া।
আর সেই কারণেই ধৃত এইচিনা নাগরিক হানকে নিয়ে বেড়েই চলেছে ধোঁয়াশা। তাঁর শরীরে কোনও ইলেকট্রনিক ডিভাইজ বা চিপ লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। তাই তাঁর সিটি স্ক্যান করার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এখনও তাঁর ল্যাপটপ, মোবাইল আনলক করা যায়নি। কারণ, সেগুলি মান্দারিন ভাষায় লক করা।যে বিশ্ববিদ্যালয়ে হানের পড়াশোনা, সেই বিশ্ববিদ্যালয় মলিকিউলার বায়োলজি, মাইক্রো বায়োলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষায় বিশেষ খ্যাত। তাহলে কি ভাইরাস সংক্রান্ত কোনও বিষয় হানের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে পারে, ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের এসব কথা ভাবাচ্ছে।এর পাশাপাশি, অন্যদিকে কী ভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করলেন চিনা নাগরিক হান জুনেই তা জানতে হানকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করলেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। এছাড়াও ধৃত এই চিনা নাগরিকের কথায় যথেষ্ট অসঙ্গতিও খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কেবলমাত্র আর্থিক প্রতারণা নাকি হানের ভারতে আসার পিছনে রয়েছে আরও বড় কারণ? সেই রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। মঙ্গলবার তাঁকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করবেন জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া ও ডেপুটি পুলিশ সুপার প্রশান্ত দেবনাথ।
পুলিশ কর্তাদের বিভিন্ন জেরার সময়ে এই হান জুনেই (Han Zeune)। প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন বেড়াতে এসেছেন ভারতে। কিন্তু ক্রমেই জেরায় তাঁর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য হাতে পান তদন্তকারীরা। তিনি লাল ফৌজের দেশের গুপ্তচর বলেই এখন মনে করছে তারা। আরো যে প্রশ্ন সামনে উঠে এসেছে তা হল এই, ভারতের আর্থিক পরিকাঠামো ধ্বংস করাই ছিল হানের মূল লক্ষ্য? জেরায় উঠে আসা তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, ‘মাল্টি লেভেল মার্কেটিং’ এর নাম করে হান ও তাঁর সঙ্গী সান জিয়াং তথ্য পাচারের কাজ করতেন এটাও গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।তদন্তে আরও যেটা উঠে এসেছে তা হল,পাওয়ার ব্যাঙ্ক ও ইভেন্ট প্ল্যান্ট বলে দু’টি অ্যাপও তৈরি করেছিলেন তাঁরা। টাকা দ্বিগুণ করিয়ে দেওয়ার নাম করে, সেই অ্যাপের মাধ্যমেই তাঁরা ভারতে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লগ্নি করাতেন। হানকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ১৩০০ ভারতীয় সিমকার্ড জাল তথ্য সহ নিজের স্ত্রী ও সঙ্গী সান জিয়াং-এর সাহায্যে চিনে পাচার করেন। অন্তর্বাসের আড়ালে সিম পাচার করতেন তিনি। সেই জাল সিম দিয়ে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অনলাইনেই টাকা হাতিয়ে নিতেন তাঁরা। এ তো গেল একটা দিক বিভিন্ন তদন্ত এবং জেরায় উঠে আসা নানান তথ্য। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্র তথা রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগের গোয়েন্দারা। তারা আরো জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ধৃত এই চীনা নাগরিক কে। এবার এইতো চীনা নাগরিক কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তরপ্রদেশে লখনৌ তে সেই রাজ্যের এটিএফের দায়িত্বে। অপরদিকে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্যের তদন্তকারীরা আধিকারিকদের মতে এই ধৃত চীনা নাগরিক হান তদন্তে কোনও সহযোগিতা করছে না ৷ এদিকে অনেক আগেই তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছিল উত্তরপ্রদেশ এটিএস। তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে গত 25 জুন রাতে মালদায় আসে উত্তরপ্রদেশ এটিএসের একটি দল। পরের দিন এই নিয়ে জেলা আদালতে আবেদন পেশ করা হয় । সেদিনই হানকে লখনউ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত মুখ্য দায়রা বিচারক রূপেন্দ্রনাথ বসু । 2 জুলাইয়ের মধ্যে তাকে লখনউয়ের বিশেষ আদালতে পেশ করার পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করার করবে এবং সেই মতো বাকি তদন্তের কাজ এভাবে বলে মনে করছেন এই কাণ্ডে ধৃতজুনেই হান এর রহস্যের অগ্রগতি। ****উল্লেখ করা যেতে পারে যে গত১০ই জুন কালিয়াচক এক নম্বর ব্লকের আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিক সুলতানপুর গ্রাম থেকে হান জুনেইকে সীমান্তরক্ষী বাহিনী গ্রেফতার করার পর তার হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত হয় দামি ল্যাপটপ, আইফোন, চিন, ভারত ও বাংলাদেশের সিমকার্ড, দুটি মাস্টারকার্ড, পেন ড্রাইভ, মানি ট্র্যানজ়াকশন মেশিন, আমেরিকান ডলার সহ ভারত ও বাংলাদেশের মুদ্রা । তার সঙ্গে ছিল বৈধ পাসপোর্টও। তাকে জেরা করে বিএসএফ জানতে পারে, সে অল্প কিছুদিনের মধ্যে অন্তত চারবার ভারতে আসা-যাওয়া করেছে।10 জুন কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিক সুলতানপুর গ্রাম থেকে হান জুনেইকে গ্রেফতার করে সীমান্তরক্ষী বাহিনী । তার হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত হয় দামি ল্যাপটপ, আইফোন, চিন, ভারত ও বাংলাদেশের সিমকার্ড, দুটি মাস্টারকার্ড, পেন ড্রাইভ, মানি ট্র্যানজ়াকশন মেশিন, আমেরিকান ডলার সহ ভারত ও বাংলাদেশের মুদ্রা । তার সঙ্গে ছিল বৈধ পাসপোর্টও । তাকে জেরা করে বিএসএফ জানতে পারে, সে অল্প কিছুদিনের মধ্যে অন্তত চারবার ভারতে আসা-যাওয়া করেছে। 11 জুন বিএসএফের তরফে তাকে কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । 12 জুন তাকে জেলা আদালতে তোলা হয় । আদালতের নির্দেশে 18 জুন পর্যন্ত তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় কালিয়াচক থানার পুলিশ । পুলিশ এই নিয়ে তদন্ত শুরু করলেও তার ল্যাপটপ ও আইফোনের পাসওয়ার্ড জানতে পারেনি । কারণ, সেগুলি মান্দারিন ভাষার পাসওয়ার্ডে লক করা ছিল । তবে কীভাবে সে কাঁটাতারের বেড়াবিহীন অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে এদেশে প্রবেশ করে, তা ঘটনার পুনর্নির্মাণে দেখায় হান ।এরই মধ্যে 16 জুন তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । কারণ, ততদিনে দেশের নিরাপত্তা সংস্থাগুলিও সন্দেহ করতে শুরু করেছে, ইংরেজির স্নাতক হান চিনা গুপ্তচর ।
সূত্রের খবর বারবার চেষ্টা করেও বাজেয়াপ্ত করা মোবাইল ল্যাপটপ আইফোন চীনা ও ম্যান্ডারিন ভাষা বিশেষজ্ঞ কোন কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি। তদন্তকারীদের একাংশের মতে কোন সহযোগিতা করছেন না তদন্তের ক্ষেত্রে এই চীনা নাগরিক জুয়ান হান। ল্যাপটপ আইফোন মোবাইলের পাসওয়ার্ড কিছুতেই বলছেন না এই ধৃত চীনা নাগরিক। যার ফলে অনেক রহস্য থেকে গিয়েছে।এদিকে ধৃত চীনা নাগরিক হান জুনেই কে আদালতের নির্দেশে নিজেদের হেফাজতে ট্রানজিটে রিমান্ডে নেওয়ার পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে এই রাজ্যের এসটিএস উত্তরপ্রদেশের এটিএস কি সহযোগিতা করেছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য 12 জন সশস্ত্র পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স দিয়ে বলেমালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছিলেন,এখন দেখার বিষয় ধৃত এই চীনা নাগরিক বাংলা থেকে শুধু উত্তরপ্রদেশে লখনৌ তে যাওয়ার পর সেখান তদন্তের মাধ্যমে কি উঠে আসে ? Pic courtesy Indian Express