GeneralGlobal WatchNewsSambad MatamatWorld

আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও তার প্রভাব 

দিলীপ চক্রবর্ত্তী 

সারা বিশ্বে “আন্তর্জাতিক অভিবাসন দিবস” সাধারণত ১৮ই ডিসেম্বর পালন করা হয়ে থাকে। তবে আমেরিকায় এ দিনটিকিন্তু ২৮শে ডিসেম্বর পালন করা হয়ে থাকে। অভিবাসন কিন্তুশুরু হয়েছে মানবজাতির রক্ষা ও উন্নতির প্রয়োজনে।পূরাকালে মানুষ নিজের প্রয়োজনে এক স্থান থেকে অন্যত্রগিয়ে স্থিতিশীল হয়েছে জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে। বর্তমানযুগের অভিবাসনও কিন্তু একই কারণ ও প্রয়োজনেই সৃষ্টিহয়েছ। বিভিন্ন দেশে গিয়ে লোকেরা নতুনভাবে নিজেদের স্থায়ীনিবাস তৈরী করছে এবং নূতন করে জীবন শুরু করছে।  

স্বভাবতঃই একটা প্রশ্ন ঊঠে আসে অভিবাসী বা অভিবাসনের সংজ্ঞা কি? আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে বলতেগেলে – যখন কোন মানুষ একক বা দলগতভাবে একটিদেশের আইনী সীমা অতিক্রম করে অন্য একটি দেশেস্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য গমন করে, তারাই তখন প্রকৃতঅভিবাসী বা অভিবাসনের ভোক্তা জনগোষ্টি। তবে মনেরাখবেন এ প্রক্রিয়াটি অতি অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইন বানিয়ম মেন হতে  হবে।  বর্তমানযুগে মানুষ বিভিন্ন কারণেঅভিবাসনে আগ্রহী হয়। তার মধ্যে প্রধান দুটি কারণ হলরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। এর বিশেষ উদাহরণ হল – দ্বিতীয়বিশ্বযুদ্ধেরপর বিশেষ অভিবাসন দিয়ে একটি নতুন দেশেরসৃষ্টি করা হয়েছিল ১৪ই মে, ১৯৪৮, মধ্যপ্রাচ্যে যার নাম “ইজরাইল”। ইজরাইলে ইহুদিরা স্থান পেল কিন্তু ঐ স্থানেবসবাসকারী প্যালেস্তানীয়রা বাসস্থানহারা হয়ে উদবাস্তু হয়েগেল। তার ফলে নতুন ছোট্ট দেশ ইজরাইল ও প্যালেস্তানীয়দের মধ্যে যুদ্ধং দেহি সমস্যার সৃষ্টি হয়ে গেল। ইজরাইল ও প্যালেস্তাইনের মধ্যে ১৯৪৮এর মতানৈক্যর প্রভাবেআরব দুনিয়ার সাথে ইজরাইলের তিনটি বড় যুদ্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু আজও শান্তি স্থাপিত হয়নি।

অভিবাসন নিঃসন্দেহে যে কোন দেশের পক্ষে সুদুরপ্রসারীপরিবর্তন সৃষ্টি করতে পারে, অভিবাসনের মাধ্যমে নতুনপ্রতিভা সম্পন্ন শ্রমজীবিদের এনে দেশের শ্রমিকের চাহিদা পূরণকরা যায়, দেশের সম্বৃদ্ধি সাধন করা যায়। যেমন আমেরিকায়নতুন অভিবাসী চীনদেশীয় শ্রমিক কৃতিত্বের সাথেআমেরিকায় রেলরোড স্থাপন করেছে, তেমনই আবার জাপানীঅভিবাসীগণ কৃষি উন্নয়নে সাহায্য করেছে ক্যালিফোর্নিয়াতে। যে কোন দেশের পক্ষেই অভিবাসন আশীর্বাদ হয়ে উঠতেপারে। তবে অভিশাপ হওয়ার দৃষ্টান্তও কম নেই। বিশেষ করেবিগত শতাব্দীর শুরুতেই আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অভিবাসীরাইউরোপের শ্রম চাহিদা পূরণের উৎস হয়ে ঊঠেছিল।ইউরোপের উন্নতির অন্যতম অংশীদার হল সকল অভিবাসী মানুষ যারাবিভিন্ন দেশ থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিজেদের গৃহস্থাপন করে ইউরোপকে সম্বৃদ্ধশালী করেছে। 

অভিবাসন শিক্ষা সংস্কৃতি ও সামাজিক মিলনের এক অভিনবসুযোগের সৃষ্টি করে দেয়। অভিবসীরা নিজেদেরকে নতুনদেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাথে যোগসাধনের এক অপূর্বসুযোগ পেয়ে থাকে। নিজের সত্বা বাজায় রেখেও নতুন দেশেরসাথে মিশে গিয়ে নিজেদের স্থাপন করে প্রতিটি অভিবাসী। এটা এক ধরণের বিশেষ সামাজিক নৈপূন্য ও ত্যাগের উদাহরণযা অভিবাসীরা সহজেই গ্রহণ করে থাকে। অভিবাসনআশ্রয়দাতা দেশের অর্থনীতির উন্নতি সাধনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে থাকে। আবার অন্য দিকে অভিবাসী জনগণসমাজের বোঝা হয়েও যেতে পারে। যেমন ইউরোপ এবংআমেরিকার সমাজ ব্যবস্থার কল্যানমূলক দিকগুলির ফয়দালুটে নেওয়া। দেখা গেছে অনগ্রসর দেশগুলির অভিবাসীদেরএকাংশ অভিবাসী হওয়ার সাথে সাথেই জাতীয় “ত্রানসংস্থার”(ওয়েলফেয়ার) দ্বারস্থ হয়ে সমাজের বোঝা হয়ে যায়। 

উত্তর আমেরিকার ভারতীয় অভিবাসীরা সত্তরের দশক থেকেআসা শুরু করেছিল। আজ তারাই আমেরিকার আর্থিকসাফল্যের শিখ্রে স্থান করে নিয়েছে। শুধু আর্থিক জগৎ ই নয়তারা নিজেদের সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে ধরে রেখেও মূলআমেরিকার জনজীবনের স্রোতে মিলিত হয়েছে। রাজনৈতিকজগতের সাফল্

Leave a Reply

Your email address will not be published.