দার্জিলিং পাহাড়ে দূর্গাপূজার সেকাল ও একাল
অরুণ কুমার
প্রায় দুই শতকের পুরনো শৈলশহর দার্জিলিং এর দুর্গাপূজার ইতিহাসও একশো বছরের বেশি। বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান তথ্য প্রামাণ্য ঘেঁটে যেটুকু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তা থেকে এটুকুই জানা গিয়েছে সেগুলিকে গেঁথে একটি মালার রূপ দিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
প্রতিবারের মত এবারও পুজোর আনন্দে মেতেছে পাহাড়ও। দার্জিলিং থানার পাশেই নৃপেন্দ্র নারায়ণ বাঙালি হিন্দু হলে দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যের সঙ্গে সাবেকিয়ানার মিশেল দেখতেই এই পুজোয় ভিড় জমান পাহাড়ের মানুষ। এবার ১০৭ বছরে পদার্পণ করেছে এখানকার পুজো।
প্রতিবারের মত এবারও নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে ও করা করণা অতি ভারী সময়ে যাবতীয় বিধি-নিষেধ মেনে কোনরকম আড়ম্ভর না করে আয়োজিত হচ্ছে দার্জিলিং পাহাড়ের সবচেয়ে প্রাচীন ১০৭ বছরের পুরনো দুর্গাপুজো। পুজোতে শহর সংলগ্ন চাঁদমারি এলাকার মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ন হলে আয়োজিত হতে চলেছে এবারও বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির সম্পাদক ডা: প্রতাপাদিত্য গুহ।এই পূজার পুরোহিত স্থায়ী পুরোহিত লিটন ভট্টাচার্য্য নিয়ম নিষ্ঠা মেনেই পুজো করে থাকেন বলে জানা গিয়েছে।
এই দার্জিলিং শহরের সবচেয়ে পুরনো দুর্গাপুজোর ইতিহাস সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডা: গুহ জানিয়েছেন ব্রিটিশ শাসন কালে যে সমস্ত বাঙালিরা দার্জিলিঙে বসবাস করতেন।
এখানকার ঐতিহাসিক বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন হিন্দু হলে যেটি পরবর্তীকালে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ন হল নামে পরিচিত হয়। কোচবিহার মহারাজা এই জায়গাটা প্রদান করেছিলেন। প্রথমদিকে এটি কাঠের তৈরি বাড়ি ছিল ।শোনা যায় যে সেই কাঠের বাড়িটি পুড়ে গেলে পরবর্তীতে সেখানে বর্ধমান মহারাজা হরেকৃষ্ণ মহতাব এবং অন্যান্য বাঙালি পরিবারের আর্থিক সহায়তায় সহায়তায় পাকা ভবন তৈরি হয় এবং তার পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন পুজো অনুষ্ঠান এখানে আয়োজিত হতে থাকে এবং ১৯১৪ সাল থেকে দুর্গাপূজার সূচনা হয় শৈল শহর দার্জিলিং এ।এই পুজো সম্পর্কে বলতে গিয়ে ডা:গুহ বলেছেন, দুর্গাপুজোর আরম্ভ থেকে বিজয় সম্মিলনী সবকিছুই এবার খুব সাধারণভাবে করা হচ্ছে কোভিড প্রটোকল মেনে।সুদূর অতীতে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ হতো। অষ্টমীতে পূজো অনুষ্ঠান এবং অন্নভোগ প্রসাদ বিতরণ বর্ধমানের মহারাজা মহারানী উভয় মিলে অংশগ্রহণ করতেন এই প্রচলন ছিল। সেই রীতি মেনেই এখনো অন্নভোগ অষ্টমীতে হয় অঞ্জলি হয় কুমারী পূজা হয় এবার হবে না। পুজো শেষে দশমীতে বিসর্জনের কথা বলতে গিয়ে তিনি জানালেন আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে কাক্ ঝোরাতে একটি জলাশয় ছিল সেখানে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হতো কিন্তু পরবর্তীকালে এখন প্রতিমা বিসর্জন অন্য জায়গায় হয়ে থাকে। শহরের নিকটবর্তী একটি জায়গা বাংলাখোলা জলাশয়ে যেটা সোনাদার কাছে রয়েছে সেখানে প্রতিমা বিসর্জন হয়ে থাকে। এভাবেই বিগত বছর ধরে প্রতিমা বিসর্জন হয়ে আসছে।
ডা: প্রতাপাদিত্য গুহ প্রায় তিন পুরুষ ধরে দার্জিলিঙে বসবাস করছেন ফলে এখানকার ইতিহাস এখানকার ঐতিহ্য এখানকার গুরুত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট তিনি ওয়াকিবহাল। চেষ্টা করছেন বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজোর দুর্গাপূজার ঐতিহ্যকে ধরে রাখার একটা প্রয়াস তিনি নিয়েছেন। তিনি জানালেন, পূজার বিসর্জনের পর সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য কোন পরিবেশে যথারীতি আয়োজিত হয় বিজয় সম্মেলনে এই মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ হলে।
এই শৈলশহরে নেপালি তিব্বতি ভুটিয়া সবাই মিলেমিশে একত্রে বসবাস যার ফলে একদিকে কাক ঝোড়া, জলাপাহাড় দেবীতলা, চাঁদমারি থেকে ম্যাল – এই সমস্ত এলাকার আনাচে-কানাচে কত কথা লুকিয়ে আছে তা একটু খোঁজখবর নিলে উঠে আসবে অনেক অজানা কথা অজানা ইতিহাস। সুদূর অতীতে ইংরেজ জমানায় স্থানীয় বঙ্গভাষীরা নিজেদের তাগিদে প্রয়োজনে পূজা-পার্বণের আরম্ভ করেছিলেন ।তৈরি হয়েছিল মন্দির উপাসনা গৃহ এবং সেই কাজে বিশেষ করে দুর্গাপূজায় বিভিন্ন রাজা জমিদার এবং আর্থিক সংগতি সম্পন্ন ব্যক্তিরা উদারহস্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেই ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে বাঙালির সেরা উৎসব দুর্গাপূজা শৈলশহর দার্জিলিং এ আজও মহা ধুমধাম না হলেও নিয়ম নিষ্ঠা সহকারে বিভিন্নস্থানে হয়ে আসছে। একশো বছর আগে এই শৈল শহরে কখনো দুর্গাপূজা হওয়ার কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় না। জানা গিয়েছে সেই সময় খেলনা ট্রেন বা দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে কামরায় করে সমতল শিলিগুড়ি থেকে দুর্গা প্রতিমা আনা হতো। সেই সময় চাঁদা তোলা হতো।ঢাকের বাদ্য মেতে উঠতো শৈল শহর। এই ঢাকীরা আসতো নদীয়া থেকে। মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ন বেঙ্গলি হিন্দু হলে সকলে মিলে পুজোর কয়েকটা দিন জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠতেন।পুজো উপলক্ষে এই নৃপেন্দ্র নারায়ণ হলে খিচুড়ি প্রসাদ বিতরণ ছিল একটি উল্লেখযোগ্য অঙ্গ। পুজোর পরবর্তীতে দশমী প্রতিমা নিরঞ্জন একটি স্মরণীয় হয়ে আছে।
জানা যায় প্রতিমা বাঁশের মাচায় করে নিয়ে নৃপেন্দ্র নারায়ন হল এর সদস্যরা কাঁধে করে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে দার্জিলিং শহরের রাস্তার উপর দিয়ে শহর পরিক্রমা করে কাকঝোড়াতে যেতেন এবং তারপর নিরঞ্জন শেষে মিলিত হতেন নৃপেন্দ্র নারায়ন হলে বিজয় সম্মিলনীতে। কোলাকুলি শুভেচ্ছা বিনিময় এবং মিষ্টিমুখ কুশল বার্তা বাড়িতে বাড়িতে চলত শুভেচ্ছা ও প্রণাম সারার পর্ব। এগুলো এখন স্মৃতির অতলে হারিয়ে যেতে বসেছে।
ইতিহাস ঘাঁটলে আরও জানা যায় ১৯২৫ সালে স্বামী অভেদানন্দ দার্জিলিঙে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং তার প্রায় চার বছর পর অর্থাৎ ১৯২৯ সালে দুর্গা প্রতিমা দিয়ে পুজো শুরু হয় এবং সেই সময় শিলিগুড়ি থেকে প্রতিমা আনা হয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে সেই সময়ে স্বামীজীর উদ্যোগে সাধারণ মানুষ ও সন্ন্যাসীরা এক পংক্তিতে বসেই অন্য প্রসাদ গ্রহণ করতেন । শৈল শহরের বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপূজা আয়োজিত হয় বেদান্ত আশ্রম ,রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম, ঘুম ,জোর বাঙলো, সোনাদা প্রভৃতি জায়গায় পুজোর ঢাকের আওয়াজ শোনা যেত কিছুদিন আগেও এখনো সেই আওয়াজ শোনা যায়। পুজোর আয়োজন যথারীতি করে স্থানীয় মানুষ। সেই সময় ,দার্জিলিংয়ের পুজোয় অধিকাংশ প্রতিমা শিলিগুড়ি থেকে আসতো আস্ত পুরোহিত এবং মন্ডপের সাজ স্বজজার সামগ্রী।
প্রতিমা বিসর্জনের আগে দার্জিলিঙে মহিলারা সিঁদুর খেলাও খেলতেন সেই সময়ে আজকের মত থিমের চর্চা আলো,মাইকের চাকচিক্য জৌলুস ছিলনা ।একচালা ডাকের সাজে মৎকার সাজিয়ে তোলা হতো আর তাতেই মেতে উঠতো পাহাড়বাসী।
প্রতিবারের মতো এবারও পর্যটন নগরী শৈল শহর দার্জিলিং ঘুরতে গিয়ে দুর্গাপুজোর স্বাদ পাওয়া যাবে এখানে এলে, যেখানে ৯ দিন ধরে চলে পুজো। করোণা আবহাওয়া কালে পুজোর আনন্দে মেতেছে পাহাড়ও। দার্জিলিং থানার পাশেই নৃপেন্দ্র নারায়ণ বাঙালি হিন্দু হলে দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে চার দিন থাকছে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ঐতিহ্যের সঙ্গে সাবেকিয়ানার মিশেল দেখতেই এই পুজোয় ভিড় জমান পাহাড়ের মানুষ। এবার ১০৫ বছরে পড়ল এখানকার পুজো। পাহাড়ে পুজো হয় ৯ দিন ধরে। ম্যালে এই পুজো হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা একটি কমিটি গঠন করে এই দুর্গাপুজো পরিচালনা করছে। এই কমিটির নাম ম্যাল দুর্গাপূজা কমিটি। একটু পিছনে ফিরে তাকালে দেখা যাবে, সুভাষ ঘিসিংয়ের আমল থেকে অনুষ্ঠিত হয় এই দুর্গা পুজো। ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু হয় এই পুজো। প্রথম দিকে দার্জিলিং গোর্খা হিল কাউন্সিল ( DGHC) ও দার্জিলিং পৌরসভার তত্ত্বাবধানে এই দূর্গা পুজো হতো। পরে পাহাড় পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অশান্ত হয়ে উঠলে বেশ কয়েক বছর পুজো বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২০১৭ সালে বিনয় তামাং পাহাড়ে ক্ষমতায় বসার পর পাহাড় কিছুটা শান্ত হয়। ফলে ফের পাহাড়ে আরম্ভ হয় দুর্গাপূজা। বিগত তিন বছর থেকে একটি কমিটি গঠন করে এই দুর্গা পুজো পরিচালনা করছে ওই এলাকারই বাসিন্দারা। কমিটির নাম দেওয়া হয়েছে ম্যাল দুর্গা পুজো কমিটি। বর্তমানে এই পুজো কমিটির সম্পাদক সঞ্জীব মোথে। তিনি এবারের পুজো সম্পর্কে জানালেন, ‘আমরা নিয়ম নিষ্ঠা আর পাশাপাশি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য পরিবেশে পুজোর আয়োজন করেছি সকলে মিলে। শহরের মানুষ এবং সমতলের মানুষ এবং বাইরে থেকে যারা পর্যটকরা আসেন সবাই এই পুজোর দিন গুলিতে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় আনন্দে। এবার করোণা পরিস্থিতিতে যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে আশাকরি প্রতিবারের মতো এবারও ভালোমতো পূজা সম্পন্ন হবে।’ প্রশাসন সূত্রে যেটুকু জানা গিয়েছে সমগ্র দার্জিলিং মহকুমায় মোট 22 টি দুর্গাপূজা হচ্ছে এবার। পর্যটকদের আসা-যাওয়ার শুরু হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সব রকম নজরদারি সাবধানতা অবলম্বন করেছে জেলা প্রশাসন। দার্জিলিং এর পুরনো পুজো গুলি ছাড়াও আর যে সমস্ত জায়গায় উল্লেখযোগ্যভাবে পূজা হয়ে থাকে সেখানে স্থানীয় মানুষেরা পুজো করে থাকেন কিছু কিছু মন্দিরে প্রতিমা বা মূর্তি রয়েছে যেমন রকভিল ধাম, সিংহীধাম, ধীরধাম এ সমস্ত জায়গায় মন্দিরে নিজস্ব দুর্গা প্রতিমা রয়েছে এবং সেখানে পুজো আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে।
আমরা নিয়ম নিষ্ঠা আর পাশাপাশি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য পরিবেশে পুজোর আয়োজন করেছি সকলে মিলে। শহরের মানুষ এবং সমতলের মানুষ এবং বাইরে থেকে যারা পর্যটকরা আসেন সবাই এই পুজোর দিন গুলিতে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় আনন্দে। এবার করোণা পরিস্থিতিতে যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে।
আশাকরি প্রতিবারের মতো এবারও ভালোমতো পূজা সম্পন্ন হবে।’ প্রশাসন সূত্রে যেটুকু জানা গিয়েছে সমগ্র দার্জিলিং মহকুমায় মোট 22 টি দুর্গাপূজা হচ্ছে এবার। পর্যটকদের আসা-যাওয়ার শুরু হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে সব রকম নজরদারি সাবধানতা অবলম্বন করেছে জেলা প্রশাসন। দার্জিলিং এর পুরনো পুজো গুলি ছাড়াও আর যে সমস্ত জায়গায় উল্লেখযোগ্যভাবে পূজা হয়ে থাকে সেখানে স্থানীয় মানুষেরা পুজো করে থাকেন কিছু কিছু মন্দিরে প্রতিমা বা মূর্তি রয়েছে যেমন রকভিল ধাম, সিংহীধাম, ধীরধাম এ সমস্ত জায়গায় মন্দিরে নিজস্ব দুর্গা প্রতিমা রয়েছে এবং সেখানে পুজো আসছে বেশ কয়েক বছর ধরে।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পঞ্চমী থেকে পুজো শুরু হলেও মহালয়ার দিন থেকে ম্যালের এই পুজো শুরু হয়ে যায়। পুজো চলে টানা ৯ দিন। মহালয়া থেকে শুরু হয় পুজো। সপ্তমীর দিন হয় ফুলপাতি উৎসব। দশমীর দিন ভাই টিকার হয়। বাঙালি পুজোয় কিছুটা যেন মিশে যায় গোর্খা রীতি রেওয়াজ। ফলে পুজোর সময় যে বাঙালিরা পাহাড়ে ঘুরতে যান, এই পুজো তাঁদের কাছে হয়ে ওঠে পড়ে পাওয়া চৌদ্দ আনার মতো। পুজোর সময় ম্যালে বাঙালি পর্যটকের কোনও অভাব হয় না।
‘করোনা পরিস্থিতি থাকলেও এখন তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কোভিড বিধিনিষেধও অনেকটাই উঠে গিয়েছে। যাতায়াতেও বাধা নিষেধ নেই। তাই ম্যালের পুজো হবে। পুজোর জন্য আলাদা কমিটি আছে। সেই কমিটিই পুজো করছে এবারেও। দশমীর দিন বিসর্জন হয়। সাধারণত ত্রিবেণীতেই তিস্তায় এই বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে পুরোটাই অবস্থা ও পরিস্থিতি বুঝে। পুজো কমিটির এক কর্তা জানিয়েছেন, পুরো পুজোটাই হয় চাঁদা তুলে। করোনার জেরে এবছর পরিস্থিতি কিছুটা আলাদা। Pic courtesy: The Telegraph