GeneralHealthIndiaNewsPoliticsSambad Matamat

শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কে হাতিয়ার করে এবার বাংলায় নজর আপের

অরুণ কুমার

কেজরিওয়ালের পন্থীরা এবার তাদের সংগঠন কে শক্তিশালী করে তুলতে বাংলায় ‘চুপচাপ ঝাঁটায় ঝাঁপ’ নীতিতে এগিয়ে চলার পথে ।মমতার তৃণমূলকে টেক্কা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ভাইয়ের আম আদমি পার্টি। সংগঠনের বীজ বুনতে রাজ্যে কেজরীর দূত সঞ্জয় বসু এই রাজ্যের সংগঠনের দায়িত্বে রয়েছেন তার সাথে এই প্রতিবেদকের দেখা হয়েছিল উত্তরবঙ্গে সফরের সময়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে এই উপস্থাপনা।

উল্লেখ করা যেতে পারে যে,অল্প দিনেই দিল্লির বাইরের কোনও রাজ্যে তারা ঘাঁটি গাড়তে সফল হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল আজও সেই কাজ করে দেখাতে পারেনি। ২০২১-এ রেকর্ড সংখ্যক আসন নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও ভিনরাজ্যে হাত বাড়িয়ে কিছুই পায়নি তৃণমূল–বলতে গেলে নিজেদের নাক কেটে বিজেপির যাত্রা সফল করে দিয়েছে, সেখানে পাঞ্জাবের কুর্সি দখল করে আপ এখন পাখির চোখ করেছে দিদির বাংলাকেই । এটাই বাস্তব সত্যি।এর আগে ২০২১-এ বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে ত্রিপুরা ও গোয়ায় সংগঠন বাড়াতে শুরু করেছিল তৃণমূল। কিন্তু দুই রাজ্যেই এখনও বলার মতো কিছুই করতে পারে নি–শুধু গগনবিদারি আওয়াজ তোলা ছাড়া। গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচনে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েও একটা আসনও দখল করতে পারে নি–উল্টে বাংলা থেকে গোয়ার রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা হারানো এক নেতাকে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস । সেখানে আপ তবু দুটি আসন দখল করেছে। আর সবথেকে বড় কথা আপ পাঞ্জাব রাজ্যের মসনদ দখল করেছে।

এবার পাঞ্জাবে ইতিহাস সৃষ্টি করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বাংলা-সহ অনেক রাজ্যকেই পাখির চোখ করেছেন। এর আগে পাঞ্জাবে বিরোধী দল হিসেবে উত্থান হয়েছিল আপের। এবার শাসক দল তারা। দিল্লির পর পাঞ্জাব ছাড়াও আরও অনেক রাজ্যেই ঘাঁটি গেড়েছে আম আদমি পার্টি। তাঁরা মুখে না বলে কাজে করে দেখাতে বেশি তৎপর–এটা তারা প্রমাণ করতে পেরেছে। তৃণমূল ভোটে না লড়েই দল ভাঙিয়ে এই মুহূর্তে মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দল হয়েছে। এর আগে ত্রিপুরাতেও তারা প্রধান বিরোধী দল ছিল। কিন্তু ভোট ময়দানে তারা কিছুই করতে পারেনি। আপ কিন্তু তৃণমূলের মতো দল ভাঙিয়ে আওয়াজে আকাশ ফাটিয়ে কোনও রাজ্যেই রাতারাতি বিরোধী দল বা শাসক দলে পরিণত হতে চায়নি বা হয়নি। তারা প্রথমে সংগঠনের ভিত মজবুত করেছে। তারপর তারা ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজ্য দখলে।তার ফলস্বরূপ পাঞ্জাবে জয়ী হয়েছে আম আদমি পার্টি। তারা এবার বাংলায় সংগঠনের বিস্তার করতে চাইছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেলায় সংগঠন বাড়ানোর কাজ শুরু করে দিয়েছে আম আদমি পার্টি। তারা মিসড কল দিয়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে এবং টার্গেট করেছে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার। আপের লক্ষ্য ২০২৬ নির্বাচনে বাংলায় প্রভাব বিস্তার করার। সেই লক্ষ্য নিয়েই ধাপে ধাপে এগোচ্ছে তারা। বিভিন্ন জেলায় সংগঠন ছড়িয়ে দেওয়াই তাদের বর্তমানে লক্ষ্য।  তবে শুধু বাংলা নয়, আরও অনেক রাজ্যকেই টার্গেট করেছে আম আদমি পার্টি।

আম আদমি পার্টি (আপ)-র পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব প্রাপ্ত পর্যবেক্ষক সঞ্জয় বসু ইতিমধ্যেই বাংলার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় সফর করে দলের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন অধিকাংশ সময় দলের কাঠামোকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে রাজ্যের নড়বড়ে পরিকাঠামো পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ করে শিক্ষা স্বাস্থ্য কৃষি সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে তারা ইতিমধ্যে তাদের তথ্য সংগ্রহের কাজ করে চলেছেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েই রাজ্যবাসীর কাছে এই বার্তা দিতে চান যে আগামী দিনে তারা দিল্লি রাজ্য এবং পরবর্তীকালে পাঞ্জাবের উন্নয়নের মডেল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও দিতে চান দুর্নীতি মুক্ত স্বচ্ছ জনগণ বান্ধব সরকার গড়তে তারা পশ্চিমবঙ্গ মানুষের কাছে এই আবেদন নিয়ে আগামী দিনের কর্মসূচি তৈরি করতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
মুখে যাই বলুক কিন্তু বাস্তবে সবাই যেমনটা ভাবছে, তেমনটা হবে না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের সর্বত্র আম আদমি পার্টি (আপ) ভোটে লড়বে বলে যে কথা বা রটনা তা কতখানি সঠিক তা আরও কিছুদিন পর দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে সিদ্ধান্তের পর স্পস্ট হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল।সূত্রের খবর আপাতত অরবিন্দ কেজরীবালের দলের নীতি, যেখানে সংগঠন গড়া যাবে, শুধু সেখানেই ভোটের লড়াই। বাকি জায়গায় দর্শকের ভূমিকায় থাকবে আপ। তৃতীয় বা চতুর্থ স্থানে থেকে হাসির পাত্র হবে না। 

বাংলায় আপের নীতি স্পষ্ট যা দলীয় শীর্ষ কয়েকজন নেতা সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে তা হল এই, মহাভারতের সঞ্জয় যেমন যুদ্ধের বিবরণ শুনিয়েছিলেন তেমনই বাংলায় ভোট-যুদ্ধের প্রস্তুতির বিবরণ এই নেতার কাছে থেকেই শুনতে চান কেজরীবাল জি। সেই দায়িত্ব পাওয়ার পরে রাজ্যে জমি যাচাই করতে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সঞ্জয়ের  বঙ্গের বিভিন্ন জেলা সফর ইতিমধ্যে সেরে ফেলেছেন। এ বিষয়ে একটি উল্লেখ করতে হয় যে,এই সঞ্জয় বসুপ্রথমে অন্না হাজারে এবং পরে অরবিন্দ কেজরীবালের নীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন । পরে চাকরি ছেড়ে দলের সর্বক্ষণের কর্মী হয়ে যান। পঞ্জাবের বিধানসভা নির্বাচনে আপের দায়িত্ব পালন করা সঞ্জয় এখন পশ্চিমবঙ্গে সংগঠন মজবুত করার নির্দেশ পেয়েছেন। পঞ্জাবে ক্ষমতা দখল এবং গোয়ায় খাতা খোলার পরে আপকে নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয় বাংলাতেও। আর সেই আগ্রহকে সাংগঠনিক শক্তিতে বদলে দেওয়াই আপের প্রাথমিক লক্ষ্য দলের।

উত্তরবঙ্গ সফরকালে দলের রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সঞ্জয় ঘোষ এর সাথে যতো টুকু কথা বলার সুযোগ হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে যে কথাটি বলতে হয় তা হল, এই রাজ্যে  এখনই ভোটে লড়াইয়ের কথা এখন যারা ভাবছেন না। এর পিছনে একটা মস্ত বড় যুক্তি তারা দেখাচ্ছেন, আসলে সংগঠন না থাকলে ভোটে লড়ে কোনও লাভ হয় না। বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা অংশ নেব। তবে সর্বত্র নয়। আমাদের নীতি, যেখানে লড়াই করার মতো সংগঠন তৈরি করা যাবে, সেখানেই প্রার্থী দেওয়া যাবে। আবার শুধু সংগঠন তৈরি হলেই হবে না, পঞ্চায়েত স্তরেও আমাদের প্রার্থী বাছাইয়ের নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠি থাকবে।  দলের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি জনগণের আস্থা অর্জনে ক্ষেত্রে দলীয় কর্মীদের এবং নেতৃত্বের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে এখানে বলে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা গিয়েছে।আরও একটি বিষয় উল্লেখ করার মতো তাহলে এই দলের যারা কর্মকর্তা সর্বক্ষণের কর্মী তারা অধিকাংশই কেউই কোনো বিষয় নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করতে চাই ছেনও  না বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের কাছে।

আরও একটা বিষয়, সমস্যা দুর্নীতি সহ‌ বিভিন্ন বিষয়ে   জানতে আগ্রহী অপ্রকাশ্যে।  বলা হয়েছে তাদের  শুধু কাজ হচ্ছে দলের কর্মসূচি সম্পর্কে মানুষকে বোঝানো দিল্লির সাফল্য পাঞ্জাবের নির্বাচনে জয়লাভ এই বিষয়গুলিকে তারা বাংলার মানুষের কাছে  পৌঁছে দেওয়া। নির্বাচনে লড়াই ও ক্ষমতা দখল এই বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে মানুষের আস্থা অর্জন ও দলের  পরিকাঠামো কে শক্তপোক্ত করাই হচ্ছে এখন প্রাথমিক কাজ। কিন্তু কী ভাবে তৈরি হবে সংগঠন? জবাবে সঞ্জয় বসু বলেছেন, ‘‘আসলে সাফল্য না পেলে তার উপরে কারও আগ্রহ তৈরি হয় না। আগেও বাংলায় আমাদের সাংগঠনিক কাঠামো ছিল। সমর্থকও ছিলেন। কিন্তু   পঞ্জাবের সভা নির্বাচনের ফলাফল  প্রকাশের পরে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। এখন আগ্রহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কর্মী বাছাই পর্ব শুরু হয়েছে।’’
জানা গিয়েছে ২০২০ সালে প্রথমে বাংলায় সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়। মিসড কলের মাধ্যমে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন হাজার পঞ্চাশেক মানুষ। এ বার তো লাখ লাখ মানুষ মিসড কল দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তার মধ্য থেকে বাছা হয়েছে ২১ হাজার জনকে। তাঁরা সদস্য হয়েছেন। জেলা ও বিধানসভা স্তরের তালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এ বার ওই কর্মীরা পঞ্চায়েত স্তরে সংগঠন গড়ার কাজ আরম্ভ করে দিয়েছেন‌ সূত্রের খবর।কিন্তু এ বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে তা হল এই,সত্যিই কি বাংলায় এত কাজ শুরু করে দিয়েছে আপ? এখনও পর্যন্ত তো সে ভাবে উপস্থিতিই দেখা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্তের বক্তব্য হল বিশেষ করে নতুন দিল্লি অফিসে দলের মিডিয়া প্রবক্তা রাম প্রসাদ গুপ্ত তিনি একসময় একটি বড় বহুজাতিক কোম্পানির সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পরবর্তীকালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে দলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যান। ইতিমধ্যেই তিনিও এ রাজ্য সফর করে গিয়েছেন।তিনি প্রসঙ্গে সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন ‘‘যে কোনও রাজ্যে আপের উত্থানের পিছনে এটাই ছিল পদ্ধতি।  চুপচাপ সংগঠন গড়ে তোলাই আমাদের নীতি।’’ তাহলে কি আপনাদের দল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে‘চুপচাপ ঝাঁটায় ঝাঁপ’ নীতি নিয়েছেন? এক্ষেত্রে রাম গুপ্তর  জবাব ছিল , এই রাজ্যের মানুষ অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় রাজনৈতিকভাবে সচেতন, সে কারণে মানুষের খুবই আগ্রহ আপকে নিয়ে এটা আমরা লক্ষ্য করেছি।তাই ,এমটা বলা যেতে পারে ।আসলে কিন্তু আমরা বাংলায় অন্য রাজনৈতিক দলের মতো নই । এখানে পাওয়ার কিছু নেই, সবটাই দেওয়ার। সেটা সকলকে বোঝানো আমাদের প্রথম কাজ। আমরা  রাজনীতি করতে আসিনি। আমরা রাজনীতি বদলাতে চাই। সংগঠন গড়ার ক্ষেত্রে এটাই আমরা আগ্রহীদের বোঝাতে চাই।’’ বাংলায় এখন তবে আপনারা কী কী করবেন? ‘‘এখন আমাদের পাঁচটা কাজ। প্রথমে জুন মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত স্তরে কর্মীদের টিম তৈরি করার পরে দেখে নিতে হবে যাঁরা ঘনিষ্ঠ হলেন তাঁদের পুরনো রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিচয় স্বচ্ছ কি না। দ্বিতীয়ত: সেই সঙ্গে কাজের লোক কি না সেটাও দেখা হবে। তৃতীয় স্তরে আমরা জেলা অনুযায়ী স্থানীয় সমস্যা খুঁজে বার করব। চতুর্থ কাজ সমাধানের উপায় ঠিক করা। অরবিন্দ কেজরীবাল বলেন, যেখানে সমস্যা রয়েছে তার আশেপাশেই থাকে সমাধান। আর সব শেষে পঞ্চম দফায় সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে আমরা বলব, আমরা কী করতে চাই। কাজের গ্যারান্টি দিয়ে তবেই সমর্থন চাইব,’’ বলেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।

এবার প্রশ্ন কার বিরুদ্ধে হবে লড়াই? জাতীয় রাজনীতিতে আপের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি। দেশে দ্বিতীয় হতে প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। বরং, অতীতে তৃণমূলের সঙ্গে আপের ঘনিষ্ঠতা দেখা গিয়েছে। জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী দলের যে জোট তার সাথে আম আদমি পার্টি এবং তৃণমূল কংগ্রেস লিখিত অলিখিত ভাবে একমঞ্চে হলেও এবং দুই দলের সুপ্রিমো একে অপরের সাথে সম্পর্ক ভালো হলেও বাংলায় প্রধান শত্রু কারা হবে তা নিয়ে যে আপের মধ্যে কিছুটা দ্বন্দ্ব রয়েছে তার আভাস পাওয়া গিয়েছে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে।রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত সঞ্জয় বসু কথায়,‘‘নীতিগত ভাবে আমরা বিজেপি-র বিরোধী। গোটা দেশে আমাদের লড়াই চলছে। কিন্তু বাংলায় বিজেপি-র তেমন শক্তি নেই। বরং, এখানে মানুষ তৃণমূলের দুর্নীতির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাই বাংলায় মূল লড়াইটা হবে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। একই সঙ্গে বাংলার মানুষকে বোঝাতে হবে যে, তৃণমূলের বিকল্প বিজেপি হতে পারে না।’’

বাংলায় সংগঠন তৈরি থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়াই— সময় পর্যন্ত কোনোরকম ঢাকঢোল পেটানো প্রচারও নয়। আপাতত ‘চুপচাপ ঝাঁটায় ঝাঁপ’ই বঙ্গ-আপের নীতি।এ কথা বললেও এদিকে কিন্তু পাঞ্জাবের পর এবার বাংলাতেও পাখির চোখ করে প্রচার  আরম্ভ করে দিয়েছে দিদির ভাইয়ের আম আদমি পার্টি।  উদ্দেশ্য সভ্য সদস‍্য  সংগ্রহ করা এবং দলের ভাবমূর্তি মানুষের সামনে তুলে ধরা।মানুষকে বোঝানো কেন তারা এ দল করবেন এবং কেউ যদি আসতে ইচ্ছুক হন তাহলে তাদেরকে মিসকল দিয়ে যাতে তাদের মতামত জানাতে পারেন । এই উদ্দেশ্যে তারা একটি প্রচারপত্র বিলি করলেন সাধারণ মানুষের মধ্যে।  তাদের এই প্রচার উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ তারাও চাইছেন নতুন কোন পথ খুঁজতে । তারা যাদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রত্যেকেই অভিভূত হচ্ছেন আপের প্রচারে । প্রসঙ্গত এবছর  কৃষক আন্দোলনে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন আম আদমি পার্টি , কৃষকদের সহায়তা করেছেন ।  শুধু তাই নয় পাঞ্জাবে বিদ্যুতের বিল মকুভ করা হয়েছে এই সমস্ত সমাজসেবামূলক কাজে মানুষকে তারা উদ্বুদ্ধ করতে পারছেন। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে যা তারা দেখতে পাচ্ছেন দুর্নীতি পরিষেবার ঘাটতি বিশেষ করে শিক্ষা স্বাস্থ্য কৃষি সহ আরো অন্যান্য ক্ষেত্রে রাজ্যের ক্ষমতাসীন দলের ব্যর্থতা মানুষের দুর্ভোগ এই সমস্ত বিষয়গুলিকে তারা নিয়ে আগামী দিনে এগোতে  চলেছেন। এরপর এটাই দেখার বিষয় যে আগামী নির্বাচনে বাংলায় কি করতে পারেন দিদির ভাইকেজরিওয়ালের‌ আম আদমি পার্টি।তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত এবং এখানকার পরবর্তী কর্মসূচি মধ্য দিয়ে জানা‌ যাবে তারা বাংলার জন্য কি বার্তা দিতে চলেছেন আগামী পঞ্চায়েত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে। এর জন্য হয়তো আমাদের আর কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.