GeneralIndiaNewsSambad Matamat

গৌরকিশোর ঘোষ জন্মশতবার্ষিকী আলোচনাচক্র

ড. দেবেন্দ্র কুমার দেবেশ 

আজ, ১৬ মে ২০২৩, সাহিত্য অকাদেমি পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয় তাদের কলকাতার সভাঘরে গৌরকিশোর ঘোষ জন্মশতবার্ষিকী আলোচনাচক্র পালন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে, শ্রোতাদের সঙ্গে বক্তাদের পরিচয় করিয়ে দেন সাহিত্য অকাদেমির আঞ্চলিক সচিব ড. দেবেন্দ্র কুমার দেবেশ। স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন অকাদেমির সচিব ড. কে. শ্রীনিবাসরাও। তিনি তার বক্তব্যে গৌরকিশোরের জীবন ও সময় নিয়ে সংক্ষেপে বলেন। গৌরকিশোর এর মূল লেখাগুলির কথা বলার পাশাপাশি সাংবাদিক ও মানবতাবাদী হিসেবে তাঁর জীবনদর্শনের কথাও বলেন। ভূমিকায়, বিশিষ্ট কবি এবং বাংলা উপদেশক পর্ষদের প্রাক্তন আহ্বায়ক ড. সুবোধ সরকার গৌরকিশোরের দুই সত্ত্বার দ্বান্দিকতার কথা তোলেন – সাংবাদিক গৌরকিশোর এবং ঔপন্যাসিক গৌরকিশোর। তিনি গৌরকিশোরের ট্রিলজি এবং অন্যান্য লেখার কথা বলেন। বিশিষ্ট অধ্যাপক, ঐতিহাসিক ও গবেষক অধ্যাপক গৌতম ভদ্র তাঁর মুখ্য ভাষণে জানান যে, গৌরকিশোরকে কোনও বিশেষ অভিধানে ভূষিত করা যায় না। তাঁর জীবন বহুমাত্রিক। তিনি রাজনৈতিক ক্ষমতাতন্ত্রের প্রভাব এবং তার বৈশিষ্ট্যের কথা তোলেন। গৌরকিশোরের তৈরি করা চরিত্রগুলির অমন অসাধারণ চিত্রণের প্রশংসা করেন তিনি। বাংলা উপদেশক পর্ষদের আহ্বায়ক এবং মাননীয় মন্ত্রী শ্রী ব্রাত্য বসু গৌরকিশোরের রাজনৈতিক সত্তার কথা বলেন এবং তাঁর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলির কথাও বলেন। তিনি গৌরকিশোরের লেখার সঙ্গে প্রফুল্ল রায়ের কেয়াপাতার নৌকা এবং অতীন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীলকণ্ঠ পাখির খোঁজে বইয়ের তুলনা টানেন। একইসাথে বিশ্বসাহিত্যের ক্লাসিকগুলির কথাও বলেন তিনি। এই অধিবেশনের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ড. দেবেন্দ্র কুমার দেবেশ।           

প্রথম অধিবেশনের সভাপতিত্বে ছিলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক এবং সম্পাদক শ্রী জ্যোতির্ময় দত্ত। এই অধিবেশনের শীর্ষক ছিল “গৌরকিশোর ঘোষ : জীবন ও সময়”। এই অধিবেশনে শ্রীমতী জয়া মিত্র গৌরকিশোরের জীবন আদর্শ নিয়ে কথা বলেন। তিনি মানুষের সার্বিক কল্যাণ এবং সম্প্রীতির কথা বলেছিলেন। বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্রী দেবাশীষ ভট্টাচার্য সাংবাদিক হিসেবে গৌরকিশোরের জীবনের কথা বলেন। তাঁর লেখা এবং খবর সম্বন্ধে তাঁর ধারণার কথা তুলে ধরেন শ্রী ভট্টাচার্য। গৌরকিশোর সংবাদমাধ্যমের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাস ছিলেন। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক, লেখক এবং প্রাবন্ধিক শ্রী শিলাদিত্য সেনের বক্তব্যের বিষয় ছিল “গৌরকিশোর : গনতন্ত্রের একক স্বর ‘সাগিনা মাহাতো’ ও তপন সিংহের চলচ্চিত্র রচনা’।

পরবর্তী অধিবেশনের শীর্ষক ছিল “গৌরকিশোর ঘোষ : লেখালখি”। এই অধিবেশনের সভাপতিত্বে ছিলেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক শ্রী আবুল বাশার। এই অধিবেশনে, বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদক শ্রীমতী ঈশানী দত্ত রায় সম্পাদক হিসেবে গৌরকিশোরের ভুমিকার কথা বলেন। সংবাদপত্রের ভূমিকা নিয়ে গৌরকিশোরের মতের ব্যাখ্যা করেন তিনি। এক্ষেত্রে গৌরকিশোরের সততার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। বিশিষ্ট গবেষক এবং অধ্যাপক ড. শিবাজী প্রতীম বসুর বক্তব্যের শীর্ষক ছিল “গৌরকিশোর ঘোষ : এক আপোষহীন অভিযাত্রীর কাহিনীলোক”। তিনি তাঁর বক্তব্যে গৌরকিশোরের ট্রিলজির সাথে সাথে তাঁর অন্যান্য উপন্যাসের কথাও বলেন। অধ্যাপক ড. শেখর সমাদ্দার গৌরকিশোরের লেখা এই দহ, গড়িয়াহাট ব্রিজের ওপরে এবং দুজনে এই লেখা গুলির কথা বলেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন দেবেন্দ্র কুমার দেবেশ। শেষ অধিবেশনের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রকাশনা সহায়ক শ্রীমতী সমর্পিতা গোস্বামী। Pic courtesy: TheTelegraph

Leave a Reply

Your email address will not be published.