বিশ্ব রোগী সুরক্ষা দিবস: কিছু কথা, কিছু জ্বলন্ত প্রশ্ন
অরুণ কুমার
দিনটি প্রতিবছর ১৭ সেপ্টেম্বর উদযাপন করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দেয় ২০১৯ সালের মে মাসে। তার পরবর্তী সময় কাল থেকে প্রতিবছর এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। উল্লেখ করতে হয় যে,এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হল জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী রোগী সুরক্ষা সম্পর্কে সংহতি স্থাপন ও কার্যসাধন।এ বিষয়ে উল্লেখ করে যেতে হয় যে আমরা জানি,প্রথম রোগী সুরক্ষা দিবসের মূল বার্তা বা থিম ছিল, “রোগী সুরক্ষাঃ একটি বিশ্ব স্বাস্থ্য অগ্রাধিকার” এবং স্লোগান হল “রোগী সুরক্ষায় সরব হন।“আমরা আরো জানি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, রোগী সুরক্ষা হল, স্বাস্থ্যসেবা প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনও রোগীর ক্ষতি যাতে না হয় এবং স্বাস্থ্যসেবার সাথে সম্পর্কিত ক্ষতির ঝুঁকিগুলি হ্রাস করা।এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন দেশ এমনকি আমাদের রাজ্যের কিছু কিছু হাসপাতালে আমরা দেখতে পাইযারা এই স্বাস্থ্যপরিসেবা সঙ্গে যুক্ত আছেন তাদের অধিকাংশ ডাক্তার নার্স এটেনডেন্ট অর্থাৎ স্বাস্থ্যপরিসেবা সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে উন্নত মানের দক্ষতা ও মানবিকতার ঘাটতি।অথচ এটা অত্যন্ত জরুরী যে, স্বাস্থ্যসেবায় রোগীর সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সঠিক নীতি, দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার এবং রোগীদের সক্রিয়ভাবে জড়িত হওয়া প্রয়োজন। এর অভাবে জনগণকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। এবিষয়ে কিছু কথা উল্লেখ করতে হয় যে,প্রতিকূল পরিস্থিতি থেকে রোগীদের রক্ষা করা স্বাস্থ্যসেবা পেশাদার/ কর্মীদের প্রাথমিক কর্তব্য দায়িত্ব হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা বাস্তবে এর বিপরীত চিত্র তাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখতে পাই।
আমাদের দেশে ও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়আমরা দেখতে পাই প্রতিদিন কোথাও না কোথাও হয় ডাক্তার নার্স কিংবা সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারা রোগীর আত্মীয়স্বজনদের কিভাবে হেনস্তার শিকার হন। আর এই প্রবণতা ক্রমবর্ধমান। এ বিষয়টি নিয়ে সরকার প্রশাসন ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ভেবে দেখার সময় এসেছে। অপরদিকে রোগী- হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্পর্ক তলানির দিকে ধাবিত হচ্ছে দিনের পর দিন। এই সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা জরুরী আজকের এই বিশ্ব রোগী সুরক্ষা দিবস দিনটি পালনের কথা মাথায় রেখে।
এবার একটু অন্য দিকে চোখ ঘোরানো যাক। একটি বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষার মাধ্যমে উঠে এসেছে এই তথ্য, নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলিতে হাসপাতালে অযত্নের অভাবে ২.৬ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক এবং অ্যাম্বুলেটরি সেটিংস্- এ, ১০ জনের মধ্যে ৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত হন। রোগী ও রোগীর আত্মীয় স্বজন সবচেয়ে বেশি দুর্ব্যবহারের শিকার হন একশ্রেণীর চিকিৎসক নার্স ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাঁড়া এটা নির্মম বাস্তব সত্য অস্বীকার করার উপায় নেই।অথচ এটাও সত্যি যখন ডাক্তার নার্স এদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় পেশাগতভাবে এই কথাগুলো বারবার বলে দেওয়া হয় প্রাথমিকভাবে স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে গিয়ে কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, যদিও প্রতিদিন বহু রোগী স্বাস্থ্য পরিষেবা গ্রহণ করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হন, যা চাইলেই এড়ানো যেতে পারে। এটা অন্যতম সত্যি হলেও বাস্তব চিত্রটা বিপরীত অমানবিক অধিকাংশ ক্ষেত্রে।এক্ষেত্রে আরো যে কথাটি বলার ,আপনি বা আপনার কোনও প্রিয়জন যদি রোগী হন, তবে আপনারা নিজেদের যত্নে সক্রিয় থাকুন। আপনার চিকিৎসার ইতিহাস সম্পর্কে সঠিক তথ্য সরবরাহ করুন এবং আপনার স্বাস্থ্যসেবা দলের সদস্যদের সঙ্গে খোলা মনে কথা বলুন। আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা এবং চিকিৎসা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে তাঁদের প্রশ্ন করুন। আপনার যত্নের সুরক্ষার জন্য কথা বলুন, রোগীর সুরক্ষার জন্য কথা বলুন।আপনি যদি একজন চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট বা স্বাস্থ্যকর্মী হন তবে রোগীদের তাঁদের যত্নের অংশীদার হিসাব যুক্ত করুন। একটি মুক্ত ও স্বচ্ছ রোগী সুরক্ষা পরিবেশ তৈরি করতে রোগীদের সঙ্গে কাজ করুন। অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে এবং ভুলগুলি থেকে শিখতে উৎসাহিত করুন। রোগীর সুরক্ষার জন্য সরব হন।আপনি যদি স্বাস্থ্যসেবা নেতা, নীতি নির্ধারক, সাংসদ বা রাজনীতিবিদ হন, তাহলে রোগীর সুরক্ষায় বিনিয়োগ করুন এবং এটিকে জাতীয় স্বাস্থ্যের অগ্রাধিকার দিন। রোগীর সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। রোগীর সুরক্ষার জন্য সরব হন। ” আমরা এ বিষয়ে জানি,রোগীর সুরক্ষার জন্য ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, জাতীয় রোগী সুরক্ষা বাস্তবায়ন গঠন- কাঠামোর (২০১৮-২০২৫) (এনপিএসআইএফ) দ্বারা একটি উদ্যোগ নিয়েছে যেখানে রোগীর সুরক্ষাকে স্বাস্থ্যসেবার মৌলিক উপাদান হিসাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গুণগত স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য, এনপিএসআইএফ সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাত দ্বারা গৃহীত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।
রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় জেলায় রোগীকে পরিষেবা যাতে আরো ভালো ভাবে দেওয়া যায় তার জন্য রোগী কল্যাণ সমিতি তৈরি করা হয়েছে যেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের সমাজ বান্ধব কিছু মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে রোগীর সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সম্পর্ক আরো মানবিক হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কাগজে-কলমে যদি দেখা যায় তাহলে সব ভালো ভালো কথাই আইন নীতিমালা প্রভৃতিতে বলাও হয়েছে যা একদিক থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়টি সুরক্ষিত নিশ্চিত করেছে।এই সমস্ত কমিটির সদস্যরা ও আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবে গলদ কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। আংগুল কিন্তু উঠছে স্বাস্থ্যপরিসেবা সঙ্গে যুক্ত আছেন যারা তাদের দিকেই!
স্বাস্থ্য পরিষেবা সংক্রান্ত নীতিমালায় এই কথাগুলোই বলা হয়েছে যে,স্বাস্থ্যসেবাতে কারও ক্ষতি করা উচিত নয়। তবুও বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার রোগী এড়ানো যায় না এমন ক্ষতি বা চোটের ঝুঁকিতে পড়েন প্রতিদিন একদিন স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করার সময়। তবে এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যপরিসেবা সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছেন তারা একটু মানবিক, রোগী-বান্ধব দায়িত্বশীল হলেই অধিকাংশ রোগীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়টি ফলপ্রসু হয়ে উঠবে আজকের সমাজে। ডাক্তার নার্স স্বাস্থ্যকর্মী যারা রয়েছেন তারা আরো সম্মান যোগ্য জায়গায় বিরাজ করবেন এটাও বাস্তব সত্যি। কিন্তু বাস্তবে তা হয়ে উঠছে না। রোগীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে দিনের পর দিন একশ্রেণীর স্বাস্থ্যকর্মী নেতিবাচক ভূমিকার জন্য।এ বিষয়ে কিছু অপ্রিয় কথা না আলোকপাত করলেই নয়। ভুক্তভোগী তারাই জানেন যে রোগী যখন হাসপাতালে কিংবা নার্সিংহোমে ভর্তি হন চিকিৎসার জন্য তখন হাসপাতাল পরিসরে ঢুকে যাওয়ার পর কি হয় সাজানো-গোছানো ঝাঁ-চকচকে দশতলা ইমারত কিংবা কেবিনে। সাম্প্রতিককালে একটা প্রবণতা খুব জোরালোভাবে দেখা দিয়েছে তা হল এই – ব্ল্যাঙ্ক পেপারে / ফর্ম এ সই করিয়ে নেওয়ার একটা প্রবণতা শুরু হয়েছে এটা অত্যন্ত মারাত্মক এবং যারা শিক্ষিত থেকে ‘শিক্ষিত সচেতন’ তাদের পক্ষে এটা খুবই বেদনাদায়ক সত্য যখন রোগীরা চিকিৎসাধীন তখন একটা মনস্তাত্ত্বিক লড়াই চলতে থাকে রোগীর পরিবারের সাথে হাসপাতাল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের সাথে।যারা রোগীর আত্মীয় স্বজন বন্ধু পরিজন তারা এ বিষয়টি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল, এই বিশ্ব রোগী স্বাস্থ্য সুরক্ষা বা নিরাপত্তা দিবস এই দিনটি পালনের সময় কালে আমরা যে বিষয়টা দেখে থাকি তা হল রোগী- ডাক্তার সম্পর্ক। রোগীর সাথে ডাক্তার এবং সেই ডাক্তারের সাথে প্রতিষ্ঠান সঙ্গে যুক্ত নার্স সরকারি নার্স আয়া সিকিউরিটি গার্ড স্যুইপার সকলে একদিকে থাকেন আর অপরদিকে রোগীর সাথে তাদের আত্মীয় পরিজন।কোভিড পরবর্তী সময়ে যেটা সবথেকে বেশি সমস্যা রূপে দেখা দিয়েছে তা হল রোগীর পরিষেবা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়টি একটা বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে এনে দাঁড় করিয়েছে সকলকে। আমরা দেখেছি বিভিন্ন জায়গায় একদিকে ডাক্তার নার্সদের একটা অংশ যেভাবে পরিষেবা দিয়ে চলেছেন অপরদিকে বিভিন্ন চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান যেমন নার্সিংহোম টেস্টিং ল্যাব অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা থেকে আরম্ভ করে রোগীর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত এমন এমন সমস্ত অমানবিক অতি অমানবিক ঘটনা মুখোমুখি হয়েছে রোগীর রোগীর আত্মীয় স্বজন তা প্রতিদিনের মিডিয়া ও সামাজিক মাধ্যমে আমরা দেখতে পেয়েছি জানতে পেরেছি যা খুবই অমানবিক ও লজ্জাকর বিষয় জানি এই আলোচনায় আমরা গভীরে গেলাম না। একশ্রেণীর মানুষ যারা শিক্ষিত অশিক্ষিত ডিগ্রিধারী তাদেরকেও দেখেছি রোগী ও রোগীর পরিবারের সাথে অত্যন্ত রুক্ষ অমানবিক ব্যবহার করতে। অপরদিকে কিছু কিছু জায়গায় প্রতিবাদ প্রতিরোধও হয়েছে নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে এটাও কাম্য নয় । প্রশ্নটা এখানেই। কোথাও তো একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে সামঞ্জস্যের অভাব হয়েছে যার ফলে রোগীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি একটা বড় ধরনের সংকট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রশাসন তাদের দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। একটা ও সহিষ্ণুতার পাশাপাশি অর্থ লোভী অর্থ গিদ্ধনুতার চরমতম বহিঃপ্রকাশ আমরা লক্ষ্য করেছি এই সময়কালে। আমরা কোন পর্যায়ে চলে গিয়েছি সেটাও সবচেয়ে বড় প্রশ্ন রূপে উঠে এসেছে এই সময়কালে।আরও একটি বিষয় উল্লেখ করে এই লেখার ইতি টানছি সেটা হলো এই যে সমস্ত সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করা হয় তখন তাদেরকে যে ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয় তা অনেকটাই কসমেটিক রোগী বান্ধব খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়। সেই সঙ্গে রোগীকে ভর্তি করার পর তার চিকিৎসার বিভিন্ন পর্বে কিছু কিছু কাগজে সাদা কাগজে ও সই করিয়ে নেওয়া হয় রোগীর আত্মীয় স্বজনকে দিয়ে এবং সেখান কি লেখা আছে তার কোন পড়ার সুযোগ দেওয়া হয় না কোনো সময়ও থাকেনা পড়ার বা জানার বা বুঝে ওঠার। ডাক্তারের পাশাপাশি সরকারি নার্স এবং আ্যটেনডেন্ট তারা বার বার চাপ দিতে থাকে রোগীর আত্মীয় স্বজনদের এখানে সই করুন, সেখানে সই করুন। যেখানে তারা সই করলেন তাতে কি লেখা রয়েছে সেটার জানার কোনো সুযোগ নেই রোগীর আত্মীয় স্বজনের । জেরক্স কপি ডুপ্লিকেট কপি দেওয়া হয়না আইনি নাকি সেটাই বলা আছে যা খুবই রহস্যময়। রোগী স্বাস্থ্যসুরক্ষা রক্ষার ক্ষেত্রে এই সমস্ত রহস্যময় কাগজে স্বাক্ষর করার বিষয়টিও একটা বড় ধরনের প্রশ্ন চিহ্ন বলা যায়।তাহলে কি কোথাও একটা অবিশ্বাসের বাতাবরণে তৈরি হয়েছে রোগী এবং স্বাস্থ্যপরিসেবা যারা দিচ্ছেন তাদের মধ্যে? আস্থা ও বিশ্বাসের অভাব তৈরি হচ্ছে। স্বাস্থ্যপরিসেবা সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন ডাক্তার নার্স এটেনডেন্ট তারা কি সবসময় আতঙ্কিত থাকেন? এটাও বড় প্রশ্ন।
এমন একটা বাস্তবিক প্রেক্ষাপটে উল্লেখ করতে হয় যে, এটাই সবচেয়ে বড় নির্মম অমানবীয় একটা বিষয় রোগীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি এখানে দুমড়ে-মুচড়ে রোগীর পরকালে যাওয়ার রাস্তা নিশ্চিত করে নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক পেশাগত দায়বদ্ধতাহীন নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিত করার একটা প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এ বিষয়ে যারা ভুক্তভোগী তাদের এই অভিমত। এ প্রসঙ্গে আগামী দিনে আরো বিতর্কের প্রয়োজন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডাক্তার নার্সদের সুরক্ষার জন্য আইন তৈরি হয়েছে ঠিকই, অপরদিকে সাধারণ মানুষ অসুস্থ হলে তারা হাসপাতালে আসেন চিকিৎসার পরিসেবা গ্রহণ করেন কিন্তু আজকের এই পরিবর্তিত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে “রোগীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা দিবস” পালনের সার্থকতা তখনই ফলপ্রসূ হবে যদি এই সমস্ত জ্বলন্ত বিষয়গুলি দ্রুত নিরাময় করা সম্ভব হয়।